
টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের কথা নানা সময়েই বলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কত্বের প্রতি তার অনুরাগও প্রবল। টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়াটা তাই তার জন্য নিশ্চিতভাবেই ছিল ভীষণ কঠিন সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত সেই দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত, যেটিকে তিনি বলছেন জীবনের সবচেয়ে গর্বের অধ্যায়।
গত জুনে টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া শান্তকেই আবার টেস্ট নেতৃত্বে বহাল রেখেছে বিসিবি। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২-২৭ চক্রে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে দায়িত্বে রাখার সিদ্ধান্ত শুক্রবার বিবৃতিতে জানায় বোর্ড।
শান্তকে নেতৃত্বে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি এই ব্যাটসম্যানের নিবেদন ও গভীর বোধের কথা।
শান্তর প্রতিক্রিয়াতেও ফুঠে উঠল ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের প্রতি তার ভালোবাসা।
“বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত এবং আমার নেতৃত্বে ভরসা ও আস্থা রাখার জন্য বোর্ডের প্রতি আমি খুবই কৃতজ্ঞ। টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব। আমার ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শান্তর শুরু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন সংস্করণেই নিয়মিত অধিনায়ক করা হয় তাকে। তবে ক্রমে সেই ভারগুলো খসে পড়তেও থাকে। প্রথমে হারান টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব। পরে গত জুনে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত ও প্রক্রিয়ায়।
শান্ত যে সে ব্যাপারটি পছন্দ করেননি, তা ফুটে ওঠে তার নানা কথায়। জুনে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ শেষে নিজ থেকেই তিনি ছেড়ে দেন এই দায়িত্ব।
২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান তখন বলেছিলেন, তিন সংস্করণে তিন অধিনায়ক সমস্যার হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এখন তার দায়িত্ব টিকে যাওয়ায় তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কই থাকছে বাংলাদেশের। তবে শান্তর ভাবনায় এখন পরিবর্তনের সুর।
“এত প্রতিভা ও সম্ভাবনা আছে যে দলের, সেই দলকে নেতৃত্ব দিতে পারা সত্যিকারের আনন্দের এবং আমি বিশ্বাস করি, রোমাঞ্চকর ও ইতিবাচক একটি মৌসুম আমাদের অপেক্ষায়। এই মাসের আয়ারল্যান্ড সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা, যেটি দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সময় শুরু হচ্ছে।”
সিলেট টেস্ট দিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু। টেস্টে দলের সত্যিকারের ব্যস্ততা আগামী বছর। মার্চ-এপ্রিলে দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ, জুলাই-অগাস্টে জিম্বাবুয়ে সফর, অগাস্টে অস্ট্রেলিয়া সফর, অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ও নভেম্বর-ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। সব মিলিয়ে আগামী বছর ১০ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :