
উইকেট বদলেছে, দুই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য কাছাকাছি ছিল। কিন্তু সেই জয় পাওয়া হয়নি। দুই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের মন্তব্যও প্রায় একই। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন চলছে ব্যর্থতার সেই একই চিত্রে। প্রতিটি হারের পর ব্যাটসম্যানরা কাঠগড়ায় ওঠেন, আর সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি থাকে সংবাদ সম্মেলনে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ হেরে যাওয়ার পরও সেটির ব্যতিক্রম নয়। বুধবার দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এলেন তানজিদ হাসান। ম্যাচে দলের সফলতম ব্যাটসম্যান তিনি। ৪৮ বলে করেছেন ৬১ রান। তবে ১৭ ওভার খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি, কাজ শেষ করতে পারেননি। আসলে তিনিও যে ব্যর্থ, সেটি ফুটে উঠল তার কণ্ঠেই।
‘‘ম্যাচ না জিতলে ফিফটির কোনো মূল্য থাকে না। উইকেটটা যেমন ছিল, এখানে সেট ব্যাটসম্যানের শেষ করতে হয়। উইকেট একটু স্টিকি ছিল। ব্যাটে আসছিল না ঠিকমত। নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা একটু কঠিন, ক্রিজে গিয়েই হিট করা। আমার কাছে মনে হয়, আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম, ম্যাচটা বেরিয়ে যেত।’’
জয়ের জন্য শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৫০ রান। উইকেট বাকি তখনও সাতটি। এই সময়ের ক্রিকেটে খুব কঠিন কোনো লক্ষ্য এটি নয়। কিন্তু সেই ৩০ বল খেলে সিরিজ বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যাটসম্যানরা খেই হারান বারবার।
প্রতিপক্ষের বোলিং এমন আহামরি কিছু ছিল না। অভিজ্ঞ বোলার বলতে ছিলেন কেবল জেসন হোল্ডার। আরেক পেসার রোমারিও শেফার্ড তো স্লগ ওভারে তুলাধুনা হন নিয়মিতই। জেডেন সিলসের এটি ছিল স্রেফ তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। অথচ ওই ৩০ বলে বাংলাদেশ তুলতে পারে কেবল ৩৫ রান। বাউন্ডারি আসে মোটে দুটি!
শেষ সময়টার আগেই ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জাকের আলির সঙ্গে তানজিদের ৩০ বলের জুটিতে রান আসে মাত্র ৩২। সেখানে তানজিদ ১৬ বল খেলে করেন ১৭ রান, জাকের ১৪ বলে ১১।
চার-ছক্কা তো দূরের কথা, অনেক বল থেকে সিঙ্গল বের করাও যায়নি। সেই ঘাটতির অনুভব করতে পারছেন তানজিদও।
‘‘এই জায়গাটা যদি আমরা একটু ডট বলগুলো কমাতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু হয় নাই। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যে, কীভাবে ডট বল আরও কম করে খেলাটাকে আগে নিয়ে যাওয়া যায়। ‘’
‘‘হয়তো আমাদের জন্য একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ওইভাবে ব্যাটসম্যানরা তৈরি করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমরা কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং কীভাবে এই মাঝের ওভারগুলোতে আরও ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে খেলাটাকে বড় করতে পারি। এটাই আমাদের সবাই মিলে খুঁজে বের করতে হবে।’’
আপনার মতামত লিখুন :