
বোলারদের বীরোচিত ঘুরে দাঁড়ানোর পর ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণ। চট্টগ্রামে এমন চিত্রনাট্যের মঞ্চায়নই দেখা গেল। দায়টুকু মেনে নিয়ে ম্যাচের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস অকপটেই বললেন, বোলাররা দারুণ করলেও তার দল হেরে গেছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়।
একটা সময় পর্যন্ত অবশ্য বোলাররাই ছিলেন বিবর্ণ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বুধবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১১ ওভার শেষে ছিল ১ উইকেটে ১০৫। সেখান থেকে ১৯০-২০০ রানে তাদের দৃষ্টি ছিল নিশ্চিতভাবেই। কিন্তু নাসুম আহমেদ টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে।
এরপর রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস অবিশ্বাস্যভাবে শেষ হয় ৯ উইকেট হারিয়ে স্রেফ ১৪৯ রানে। শেষ ৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা যোগ করে কেবল ৪৪ রান।
ম্যাচের শুরুতে লিটন বলেছিলেন, এই উইকেটে ১৮০ রানের মতো লক্ষ্য তাড়া করতে সমস্যা নেই তাদের। ১৫০ রানের লক্ষ্যে তাই অনেক খুশিই থাকার কথা তাদের। সেই খুশি মিলিয়ে যায় ব্যাটিংয়ে নামার পর। ২০ ওভারে তারা করতে পারে মোটে ১৩৫ রান!
১৪ রানের জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জিতে নেয় এক ম্যাচ বাকি রেখে।
ম্যাচের পর বোলারদের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করে লিটন মেনে নিলেন ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা। কাঠগড়ায় তুললেন নিজেকেও।
“গত দুই-তিন সিরিজেই আমাদের বোলাররা সত্যিই ভালো করছে। সব বোলারের প্রতি আমি দুঃখিত, তারা আমাদের জন্য অসাধারণ কাজ করেছেন। কিন্তু আমরা ম্যাচ জিততে পারিনি।”
“১৫০ মোটেও বড় লক্ষ্য ছিল না, বিশেষ করে চট্টগ্রামে। কিন্তু যখনই আমরা একটু আটকে গেছি, তখনই আউট হয়ে গেছি। বিশেষ করে আমি, আমাকে অন্তত ১২-১৩ ওভার ব্যাট করতে হবে। আমাকেও উন্নতি করতে হবে। কারণ আমি টিকে থাকলে ম্যাচ আগেই শেষ হতে পারত।”
লিটন নিজে ২০ রানে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। আউট হয়ে গেছেন ২৩ রানে। ম্যাচের শুরুতে তিন রানে জীবন পেয়ে সাইফ হাসান আউট হয়েছেন পাঁচ রানে। তাওহিদ হৃদয় পাঁচ রানে জীবন পেয়ে আউট হয়েছেন আর সাত রান যোগ করেই। ১৭ ওভার টিকে ছিলেন যিনি, সেই তানজিদ হাসান ৪৪ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েও দলকে বাঁচাতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়েছেন ৬১ রানে।
এত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতাও মেনে নিলেন লিটন।
“ওরা আজকে ভালো বোলিং করেছে, কিন্তু ফিল্ডিং খুব ভালো ছিল না। আগের ম্যাচে তারা দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছিল। আজকে তত ভালো ছিল না, আমাদের জন্য যা দারুণ ছিল। কিন্তু আমরা স্কোর তাড়া করতে পারিনি।”
সিরিজের শেষ ম্যাচ চট্টগ্রামেই শুক্রবার।
আপনার মতামত লিখুন :