
ঢাকায় ওয়ানডে সিরিজে দর্শকসংখ্যা ছিল বেশ কম। তাই চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টিতে কেমন সাড়া পড়বে, তা নিয়ে একটু সংশয় ছিল বিসিবি ও আয়োজকদের মধ্যে। কিন্তু সোমবার দুপুর থেকেই দৃশ্যটা বদলে যায়। সাগরিকা এলাকার কাট্টলি বিচ সংলগ্ন বীর শ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের পথে থেকেই শুরু হয় দর্শকদের ঢল। ম্যাচ শুরুর অন্তত তিন ঘণ্টা আগেই স্টেডিয়ামমুখী মানুষের ভিড় জমে যায় চারপাশ।
বিসিবি গত বছর থেকে অনলাইনে টিকেট বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। ফলে আগেভাগে বোঝা মুশকিল কতজন টিকিট কেটেছেন। তবে মাঠের চারপাশের জনস্রোতই বলছিল, দর্শকরা ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনছে উৎসবের আবহ।
চকরিয়ার আরিফুল ইসলাম সাগর এসেছেন বান্দরবানের আলিকদম থেকে, দুই বন্ধু জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে। স্টেডিয়ামের গেটে পৌঁছেই তারা খুলে ফেললেন গায়ের পুরোনো জামা, পরে নিলেন নতুন জার্সি, যেখানে সাইফ হাসানের নাম লেখা। দাম ২০০ টাকা, মৌসুমি বিক্রেতা শাহিনের কাছ থেকে কিনেছেন তারা।
সাগর বলেন, “সাইফের খেলা দেখি এশিয়া কাপ থেকে। আগ্রাসী ব্যাটিং করে, ভালো শট খেলে। ওর মতো কেউ ভয় পায় না। এজন্যই ভালো লাগে।”
তার বন্ধু জয়নালের ভাষ্য, “আমি মুস্তাফিজের ভক্ত, কিন্তু সাইফের ব্যাটিং আলাদা। এমন কয়েকজন ব্যাটার পেলে বাংলাদেশ অন্য লেভেলে চলে যেত।”
এই দলের আরেক সদস্য জাহিদ বললেন, “আগে ওয়ানডে ভালো লাগত, এখন টি-টোয়েন্টিই দেখি। ওয়ানডেতে হেরে যাচ্ছি অনেক, কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে দেখি কিছুটা আগ্রাসন আছে।”
দূর পথ পাড়ি দিয়ে আসা এই দর্শকরা শুধু সাইফ নয়, পুরো দলকেই সমর্থন দিতে চায়, ফল যাই হোক না কেন।
সাগর যেমন বললেন, “হারজিত থাকবেই, আমরা ভালো ক্রিকেট দেখতে চাই। জিতলে বাড়তি আনন্দ।”
স্টেডিয়ামের বাইরে জার্সি বিক্রেতা শাহিনের কাছ থেকে জানা গেল, এদিন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে সাইফ হাসানের নামের জার্সি, মুস্তাফিজ বা লিটনের চেয়ে চাহিদা বেশি।
নসুরুল্লাহ, তারেক, কাসেম ও নাফিস—এক গ্রুপ টেকনাফের বাহারছড়া থেকে এসেছেন। তাদের আলোচনা বলছিল, ওয়ানডে সিরিজে হতাশা থাকলেও টি-টোয়েন্টি নিয়ে তারা আগ্রহী।
সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :