
প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে অনায়াসে জিততে চান যেকোনো অধিনায়ক। কিন্তু প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এবার তেমন কিছু চাচ্ছেন না লিটন দাস। সম্ভব হলে প্রতিটা বলে পরীক্ষায় পড়ে, সেটাতে উতরে গিয়ে জিততে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের সবশেষ ছয় ম্যাচে লিটনের চাওয়া, কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এই ছয় ম্যাচের দিকে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছেন লিটন।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, সামনের ছয় ম্যাচেই কঠিন লড়াই দেখতে চান তিনি।
‘‘সত্যি কথা বলতে, আমি দুইটা সিরিজে চাই, যেন আমাদের খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়ে হতে পারে। আমি মনে করি, এই ছয়টা ম্যাচে আমরা যতটা পিছিয়ে থাকব, ততটাই ভালো। ব্যাকফুটে থাকব, এর অর্থ… চ্যালেঞ্জের কথা বলছি। এই না যে, আমরা ম্যাচে পিছিয়ে থাকব। আমি চাই, বোলাররা যখন বল করবে তখন যেন চাপ থাকে। যে জিনিসগুলো ভবিষ্যৎ মানে সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, সেখানে আমাকে সাহায্য করবে।’’
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ। পেয়েছিল এক আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ তিন জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার রানে হারের আক্ষেপ থাকলেও সেটাই এখন প্রেরণা। আগের যেকোনো বছরের চেয়ে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি- চার সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ। দলের এমন বদলকে লিটন দেখছেন ভালো উইকেটে ভালো ক্রিকেট খেলার ফল হিসেবে।
‘‘পার্থক্য তেমন কিছু না। এখন আমরা চেষ্টা করছি ভালো উইকেটে খেলার জন্য। আপনি যখনই ভালো উইকেটে খেলবেন। ব্যাটারদের সফল হওয়ার সুযোগটা বেশি থাকবে। দলে যতগুলো ক্রিকেটার আছে ছয় থেকে সাত পর্যন্ত যত ব্যাটার আছে তাদের মধ্যে আমার ছয়ের সংখ্যা কম। দলের এখন বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বড় বড় ছয় মারতে পারেন। এটা বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু একই সঙ্গে ক্রিকেট শুধু ছয়ের ওপর দিয়ে গেলে হবে না। যদি প্রয়োজন হয় ছক্কা মারবে। অন্যথায় প্রয়োজন পড়লে এক দু্ই রানের দিকেও যেতে হবে।’’
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের একজন লিটন মনে করেন, সংস্করণ বদলালে শুধু টেকনিক না, মানসিকতার দিকটাও বদলায়।
‘‘সংস্করণ ভেদে ক্রিকেটারের মানসিকতা বলেন বা আগ্রাসন, একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। উইকেট ভেদেও হয়, সংস্করণ ভেদেও হয়। তাই আমার মনে হয়, যেহেতু এই সংস্করণটা খেলোয়াড়রা জানে, অনেকদিন ধরে খেলছে এবং বেশিরভাগ খেলোয়াড় সফল হয়েছে। তো তারা জানে যে কোন ঘরানার ক্রিকেট খেললে এখানে সফল হওয়া যাবে।’’
আপনার মতামত লিখুন :