
এক হাতে ট্রফি, আরেক হাতে পুরস্কারের ডামি চেক। ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছিলেন সৌম্য সরকার, নানাজনের সেলফির আবদার মেটাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ম্যাচের সেরা হয়ে যখন হাসিমুখে নানা কিছু করছিলেন তিনি, ততক্ষণে তার জেনে যাওয়ার কথা আরেকটি খবর। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়নি।
সবশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন সৌম্য। কিন্তু ভিসা ভিসা জটিলতায় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতেই পারেননি, খেলার সুযোগ পাওয়া তো দূরের কথা। এবার যখন তিনি দলেই ঠাঁই পেলেন না, প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, না খেলেই কেন বাদ পড়লেন তিনি।
দল ঘোষণার পরদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সেই প্রশ্নের উত্তর শোনালেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
‘‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে লিটন চোটে পড়ায় স্ট্যান্ডবাই থেকে সৌম্যের সুযোগ হয়েছিল দলে। এখন লিটন ফিরেছে চোট কাটিয়ে, তাই সৌম্য নেই। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের শুরুর ব্যাটারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের গ্রাফ এমনিতে উর্ধ্বমুখী। পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হোসেনের উদ্বোধনী জুটি খুব ধারাবাহিক না হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় খারাপ করছেন না। একটি জায়গায় তো এই জুটি ছাড়িয়ে গেছে আগের সব জুটিকে।
এই বছর এখনও পর্যন্ত শুরুর জুটিতে দুজন মিলে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন ৪৭০ রান। টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকবার্ষে বাংলাদেশের সফলতম জুটি তারাই। পেছনে পড়ে গেছে ২০২৩ সালে লিটন কুমার দাস ও রনি তালুকদারের ৩৪৬ রান।
প্রতিপক্ষ বিবেচনা নিয়ে বা চোটের কারণে কখনও কখনও জুটিতে সাময়িক পরিবর্তন হয়েছে কয়েকটি ম্যাচে। তখন কখনও অধিনায়ক লিটন দাস বা সাইফ হাসান নেমেছেন ইনিংস শুরু করতে।
পারভেজ ও তানজিদ ওপেন করলে তিন-চারে লিটন ও সাইফ তৈরিই আছে। কোনো কারণে সাইফ ওপেন করলেও তিনে আছেন লিটন। বিকল্প হিসেবে সৌম্যর প্রয়োজন তাই অনুভব করেননি নির্বাচকরা
অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার অপেক্ষা তাই দীর্ঘ হচ্ছে আরও। এই সংস্করণে তার পারফরম্যান্সও অবশ্য খুবই বিবর্ণ। ৮৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেও কখনও ধারাবাহিকত হতে পারেননি সেভাবে। টপ অর্ডারে (১ থেকে ৩ নম্বর) ৭১ ইনিংস ব্যাট করে তার রান মোটে ১ হাজার ২৯১। টপ অর্ডারে অন্তত ৭০ ইনিংস ব্যট করা ব্যাটারদের মধ্যে তার রানই ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে কম।
আপনার মতামত লিখুন :