মোহাম্মাদ শামি, আকাশ দিপ, মুকেশ কুমার, ইশান পোরেল- ভারতীয় টেস্ট দলের পেস আক্রমণ বললেও খুব বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। তবে এটি আসলে রাঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দলের পেস আক্রমণ। ইডেন গার্ডেনসে উত্তরাখান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করছে বাংলা। প্রশ্নটিও উঠে যাচ্ছে সেখানেই। ভারতীয় দলে কেন নেই শামি?
সেই প্রশ্নেই অভিজ্ঞ এই পেসার বললেন, বিতর্ক ছড়াতে চান না তিনি। তবে কথা দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন, ক্ষোভ বাসা বেঁধেছে তার মনে।
২০২৩ বিশ্বকাপে অসাধারণ বোলিংয়ের পর চোটের কারণে লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে পড়েন শামি। দীর্ঘ পুনবার্সন শেষে ভারতীয় দলে ফেরেন তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। সেই সিরিজে দুটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যান তিনি। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে শিকার করেন ৫ উইকেট। সেমি-ফাইনালে ৩টি উইকেট নেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে ফাইনালে ৯ ওভারে ৭৪ রান দেওয়ার পর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি।
এই সময়ে ইংল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত, এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছে দেশের মাঠে এবং সীমিত ওভারের দুটি সিরিজ খেলতে এখন তারা আছে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু শামি খেলছেন রাজ্য দলে।
শামিকে জাতীয় দলের বাইরে রাখা নিয়ে গত জুনে প্রধান নির্বাচক আজিত আগারকার ইঙ্গি দিয়েছিলেন ফিটনেসের দিকে। রাঞ্জি ট্রফি শুরুর আগে সেদিকে ইঙ্গিত করেই জবাব দিলেন ৩৫ বছর বয়সী পেসার।
“দল নির্বাচন আমার হাতে নেই। ফিটনেসের সমস্যা যদি থাকে, আমি নিশ্চয়ই এখানে বাংলার হয়ে খেলতাম না। আমার মনে হয় না এসব নিয়ে আমার কথা বলা ও বিতর্ক তৈরি করা উচিত। যদি চার দিনের ম্যাচ খেলতে পারি, ৫০ ওভারের ক্রিকেটও খেলতে পারি।”
নিজের ফিটনেসের হালনাগাদ তথ্যও তিনি মুখের কথায় বোঝাতে চান না, ফুটিয়ে তুলতে চান মাঠেই।
“আপডেট দেওয়ার ব্যাপার হলে, আপডেট দেওয়া বা চাওয়া তো আমার দায়িত্ব নয়। আমার ফিটনেসের আপডেট দেওয়ার দায়িত্ব আমার নয়। আমার দায়িত্ব হলো এনসিএ-তে (জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি, এখন যেটির নাম সেন্টার অব এক্সিলেন্স) যাওয়া, তৈরি হওয়া ও ম্যাচ খেলা। আপডেট দেওয়া বা না দেওয়া তাদের ব্যাপার, যারা দেয়। আমার কাজ এটা নয়।”
৬৫ টেস্ট, ১০৮ ওয়ানডে ও ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলা পেসার হাল ছাড়তে চান না। ৩৫ পেরিয়েও লড়াই চালিয়ে যেতে চান তিনি।
“আমার কাজ লড়াই করা, ম্যাচ খেলা চালিয়ে যাওয়া। পারফর্ম করলে দলেরই তাতে লাভ। দল নির্বাচন আমার হাতে নেই। আমার কাজ প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচ খেলা। আমাকে যদি (জাতীয়) দলে না নেওয়া হয়, এখানে এসে বাংলার হয়ে খেলব। এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।”
“চোট নিয়ে খেলতে চাই না আমি, দলকে ভোগাতেও চাই না। অস্ত্রোপচারের পর ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন এবং শক্তভাবে ফিরতে চেয়েছিলাম। এখনও সেটিই চেষ্টা করি। তারা (নির্বাচকরা) যখনই নিতে চাইবে, আমি প্রস্তুত থাকব।”
আপনার মতামত লিখুন :