বৃহদান্ত্র বা মলাশয়ের নিচের দিকে যুক্ত থাকা পেটের ডান দিকে আঙ্গুলের সমান থলের মতো ছোট অংশটির নাম অ্যাপেন্ডিক্স। আর এতে সংক্রমণ হলে তাকে বলা হয় অ্যাপেন্ডিসাইটিস।
জনহপকিন্সমেডিসিন ডটঅর্গ’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে রোগ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে কাজ করে অ্যাপেন্ডিক্স।
যে কারণে হয়
অ্যাপেন্ডিক্সের আস্তরণ যাকে বলা হয় ‘লুমেন’, সেটাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে অ্যাপেন্ডিসাইটস হয়। এর ফলে অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে যায়। শুর হয় ব্যথা।
নানান কারণে এই সংক্রমণ হতে পারে। যেমন- ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা অন্ত্রে থাকা পরজীবির আক্রমণ। বৃহদন্ত্রের সাথে অ্যাপেন্ডিক্স যে নলের মাধ্যমে যুক্ত থাকে সেটাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলেও বা মল আটকে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় টিউমারের কারণেও অ্যাপেন্ডিসাইটস হতে পারে।
অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে গেলে, সেখানে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যথা ও ফোলার পরিমাণ বাড়ে।
দেহের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত প্রবাহ জরুরি।
পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের অভাবে অ্যাপেন্ডিক্স মারা যেতে থেকে। আর এর দেয়ালে ছিদ্র তৈরি হলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
এই ছিদ্র থেকে মল, ব্যাক্টেরিয়া, শ্লেষ্মা ইত্যাদি পেটের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে, যাকে বলে ‘পেরিটোনাইটিস’। এই মারাত্মক সংক্রমণ পেটে তখনই হয় যখন অ্যাপেন্ডিক্স, অন্ত্রের যে কোনো অংশ বা পাকস্থলিতে ছিদ্র তৈরি হয়ে নানান উপাদান বের হয়ে যেতে থাকে।
ঝুঁকি যাদের বেশি
অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। যে কারও যে কোনো সময় এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মায়ো ক্লিনিক জানাচ্ছে- সাধারণত বয়স ১০ থেকে ত্রিশের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এছাড়া যাদের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে; বিশেষ করে পুরুষের।
লক্ষণ
অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে
এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ সাধারণ সমস্যা বলে মনে হয়। তাই অবহেলা করা উচিত না।
চিকিৎসা
অ্যাপেন্ডিসাইটস একটি জরুরি অবস্থা। এর থেকে জীবনহানীও হতে পারে। এজন্য সমাধান হিসেবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করে চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন :