
জশ হেইজেলউডকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা বলছিলেন আভিশেক শার্মা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন বোলিং তিনি দেখেননি আগে। যখন তাকে বলা হলো, সিরিজের পরের তিন টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন না অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার, ভারতের আগ্রাসী ওপেনার তখন চমকে গেলেন, “ওহ, তাই নাকি? আমি এটা জানতাম না।”
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে শনিবার হোবার্টে উড়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া দল। তবে হেইজেলউড তখন থাকবেন সিডনির বাড়ির পথে। এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই ছিল, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজর কেবল প্রথম দুই ম্যাচেই তিনি থাকবেন দলে। এরপর কয়েক দিন বিশ্রাম নিয়ে ১০ নভেম্বর থেকে তিনি খেলবেন শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে, যেটি মূলত কাজ করবে তার অ্যাশেজ প্রস্তুতি হিসেবে।
লাল বলের লড়াইয়ের আগে সাদা বলেও আলো ছড়িয়ে গেছেন হেইজেলউড। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার তার বোলিং ছিল অসাধারণ। চার ওভারের টানা স্পেলে স্রেফ ১৩ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করে ধস নামান ভারতীয় ব্যাটিংয়ে।
হেইজেলউডের বোলিংয়ের সামনে যখন ধুঁকছিল ভারতের টপ অর্ডার, অন্য প্রান্তে তখন উল্টো রূপে ছিলেন আভিশেক। অস্ট্রেলিয়ার অন্য বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ফিফটি করেন তিনি ২৩ বলে। পঞ্চাশের আগে পাঁচ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত করতে পারে ১২৫ রান। সেখানে অর্ধেকের বেশি রান একাই করেন আভিশেক (৩৭ বলে ৬৮)।
আভিশেকের একটু সৌভাগ্য ছিল, হেইজেলউডের বল সেভাবে খেলতে হয়নি তাকে। পাওয়ার প্লেতে তিন ওভারে স্রেফ ছয় রান দেন এই পেসার। সেই তিন ওভারে তার স্রেফ দুটি বল খেলেন আভিশেক, রান নেন দুটি।
পাওয়ার প্লে শেষে একমাত্র বাউন্ডারিটি হজম করেন হেইজেলউড। সেটি আসে আভিশেকের ব্যাট থেকেই। তবে সেটি আসে ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের পাশ দিয়ে। স্লিপে ফিল্ডার থাকল যা হতো পারত সহজ ক্যাচ। পরের বলে আভিশেক নেন সিঙ্গল। ব্যস, হেইজেলউডের চারটি ডেলিভারিই খেলেন তিনি।
অন্য প্রান্ত থেকে হেইজেলউডের বোলিং দেখেন আভিশেক। নিখুঁত লাইন-লেংথ, ছোট ছোট সুইং, বাড়তি বাউন্সের দারুণ প্রদর্শনী তাকে মুগ্ধ করেছে।
“ওয়ানডেতেও তার বোলিং দেখছিলাম আমি। আমরা জানতাম, আমাদেরকে এতটা চ্যালেঞ্জ দেবে ও কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলবে। তবে তার পরও আজকে (শুক্রবার) সে যেভাবে বোলিং করেছে, আমি চমকে গেছি। টি-টোয়েন্টিতে এমন কিছু আমি আগে দেখিনি।”
“আমার জন্য এটা ছিল নতুন কিছু। কারণ আমি এমন ব্যাটসম্যান যে, দাপট দেখাতে পছন্দ করি। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে যখন তার বোলিং দেখছিলাম, যেভাবে বল করছিল… আমার জন্যও মনে হচ্ছিল তার পরিকল্পনা আছে এবং সে সবটুকুই বাস্তবায়ন করছিল।”
বৃ্ষ্টিতে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। হেইজেলউড না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বোলিং একটু দুর্বল হয়ে পড়বে বটে। তবে ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়বে চোট কাটিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফেরায়।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ রোববার। পরের দুই ম্যাচ বৃহস্পতিবার ও শনিবার।
আপনার মতামত লিখুন :