
শ্রেয়াস আইয়ারের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। সিডনির হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। এখনই অবশ্য দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। সিডনিতেই আরও কিছুদিন চিকিৎসা চলবে তার। বিমান চড়ার অনুমতি পেলেই কেবল ফিরতে পারবেন দেশে।
গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান শ্রেয়াস। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং এক পর্যায়ে আইসিইউতেও রাখতে হয়।
বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) নিয়মিতই বিবৃতি দিয়ে শ্রেয়াসের চিকিৎসার খবর জানাচ্ছে। সবশেষ বিবৃতিতে শনিবার সকালে ভারতীয় বোর্ড জানায় ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটারের অগ্রগতির খবর।
“তার চোট দ্রুতই চিহ্নিত করা হয় এবং সামান্য ব্যবস্থা নেওয়ার পর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় রাখা হয়। সে এখন স্থিতিশীল আছে এবং ভালোভাবেই সেরে উঠছে। বিসিসিআইয়ের মেডিকেল বিভাগ এবং সিডনি ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। আজকে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
“শ্রেয়াসের সম্ভাব্য সেরা চিকিৎসা নিশ্চিত করায় সিডনিতে ড. কৌরুশ হাঘিগি ও তার দল এবং ভারতে ড. ডিনশ পার্দিওলা ও তার দলের কাছে বিসিসিআই কৃতজ্ঞ বিসিসিআই। পরবর্তী পরামর্শ ও প্রক্রিয়ার জন্য সিডনিতেই রয়ে যাবে শ্রেয়াস। বিমান ভ্রমণের উপযুক্ত হলে সে ভারতে ফিরবে।”
সিডনিতে গত শনিবার ফিল্ডিংয়ের সময় অ্যালেক্স কেয়ারির ক্যাচ নিতে গিয়ে এই চোট পান শ্রেয়াস। মাঠে পড়ে যাওয়ার পরই যন্ত্রণার ছাপ ফুটে ওঠে তার চেহারায়। মাঠেই তার চিকিৎসা চলে বেশ কিছুক্ষণ। পরে ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়ে যান তিনি।
সেদিন আর ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি শ্রেয়াস। ভারতের ৯ উইকেটের জয়ে তার ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজনও হয়নি। স্ক্যান করিয়ে তার প্লীহায় ক্ষত এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ধরা পড়ে। পরদিন অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিউতে নেওয়া হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। সেই শঙ্কা এখন দূর হয়ে গেছে।
শ্রেয়াসের মাঠে ফেরা নিয়ে কোনো কিছু এখনও জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, মাস দুয়েক মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী ক্রিকেটারকে।
আপনার মতামত লিখুন :