
কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে অভিষেক মৌসুমটা দারুণ কাটছে ফাহাম-উল-হাকের। ব্যাট হাতে দারুণ সব ইনিংস খেলে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হাকের ছেলে। আগের দুই ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা ওপেনার এবার উপহার দিয়েছেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি।
পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে পেশাওয়ারের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রান করেন ফাহাম। ফায়সালাবাদের তরুণ ব্যাটসম্যানের ৩২৬ বল ও ৪৩৭ মিনিট স্থায়ী ইনিংসটি গড়া ১৮ চারে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ফাহামের প্রথম সেঞ্চুরি। আগের দুই ম্যাচে ফাতার বিপক্ষে ৭৮ ও শিয়ালকোট ম্যাচে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট’স ট্রফি গ্রেড-১ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯ বছর বয়সী ফাহামের। কিন্তু এই সংস্করণে শুরুটা তার ভালো হয়নি। ওই প্রতিযোগিতায় চার ম্যাচ খেলে ৮ ইনিংসের তিনটিতে খুলতে পারেননি রানের খাতা। একবারও ছুঁতে পারেননি ফিফটি। সর্বোচ্চ করেন ৪৭ রান।
অক্টোবরের শুরুতে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে পা রাখেন ফাহাম। এখানেও তার শুরুটা হয় হতাশার। অভিষেক ম্যাচে করাচি রিজওন ব্লুসের বিপক্ষে আউট হয়ে যান কেবল ১৩ রান করে। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিন ম্যাচেই ভালো করলেন তিনি।
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে ৩২০ রান করে পেশাওয়ার। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন ইফতিখার আহমেদ। মোহাম্মদ হারিসের ব্যাট থেকে আসে ৮৮ রান।
ফায়সালাবাদের প্রথম ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়। হাসান রাজা ও ফাহামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৬ রান। ৮ চারে ৪০ রান করে বিদায় নেন হাসান রাজা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি।
এক প্রান্ত ধরে রেখে দলকে টানেন ফাহাম। চমৎকার ব্যাটিংয়ে শুক্রবার টানা তৃতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ১২০ বলে। এরপর আরও এগিয়ে এদিনই ২২২ বলে পা রাখেন তিন অঙ্কের ঠিকানায়। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৭ চারে ১৩৭ রান করে।
নতুন দিনে নিজের ইনিংসকে আরও কিছুটা টেনে নিয়ে দেড়শ স্পর্শ করেন ফাহাম। তার চমৎকার ইনিংসের পথচলা থামে সাজিদ খানের বলে ক্যাচ দিয়ে।
ফাহামের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৩৮৪ রান করে ৬৪ রানের লিড নেয় ফায়সালাবাদ। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৭০ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেছে পেশাওয়ার।
এরই মধ্যে দুটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচও খেলেছেন ফাহাম। তবে তেমন কিছু করতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ফাহামের বাবা মিসবাহ পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডেতে পাঁচ হাজারের বেশি রান করেছেন। পাকিস্তানের জার্সিতে টেস্টে তার চেয়ে বেশি রান আছে ছয় জনের। ওয়ানডেতে অবশ্য তিনি তালিকায় অনেক পরে, ত্রয়োদশ স্থানে।
তবে টেস্টে মিসবাহর একটি রেকর্ড এখনও ভাঙতে পারেনি কেউ। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে দ্রুততম ফিফটির কীর্তিটি তার। ২০১৪ সালে আবু ধাবিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন তিনি।
গত বছরের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও দেন ফাহাম। যেখানে দেখা যায়, নেটে মিসবাহর সঙ্গে ব্যাটিং অনুশীলন করছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :