
ব্য্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ দিকে দারুণ একটি ক্যামিও, বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট। কার্যকর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যান অব দা ম্যাচ জর্জ লিন্ডা। দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়ে পারফর্ম করেছেন আরও কয়েকজন। তবে লিন্ডার ম্যাচ-সেরা হওয়া নিয়ে খুব বেশি প্রশ্ন কারও থাকার কথা নয়। কিন্তু আপত্তি আছে তার নিজেরই। এই অলরাউন্ডারের মতে, সেরার স্বীকৃতিতে বেশি যোগ্য ছিলেন তার অন্য দুই সতীর্থ।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার পাকিস্তানকে ৫৫ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২২ বলে ৩৬ রান করার পর ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার পান লিন্ডা। দারুণ শুরু করা সাইম আইয়ুবের ব্যাটে তিনটি ছক্কা হজম করার পর শোধ তোলেন তিনি এই ওপেনারকে বিদায় করে। পরে আউট করেন দুই বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান উসমান খান ও ফাহিম আশরাফকে।
পাকিস্তান এমনিতেও তার প্রিয় প্রতিপক্ষ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই নিয়ে চারবার ম্যান অব দা ম্যাচ হলেন। এর তিনটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে এবার নিজের চেয়ে যোগ্য প্রার্থী তিনি দেখছেন। পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে ৩৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বললেন, করবিন বশ ও রিজা হেনড্রিকস বেশি উপযুক্ত ছিলেন এই পুরস্কারের জন্য।
“সত্যি বলতে, আমার মনে হয়, এটা আমার প্রাপ্য নয়। বশ ও হেনড্রিকস খেলাটা গড়ে দিয়েছেন আমাদের জন্য, তাদেরই এটা প্রাপ্য।”
“ব্যাট হাতে আমার দায়িত্ব ইনিংসটা ভালোভাবে শেষ করা। আজকে তা করতে পেরে ভালো লাগছে। পরের ম্যাচেও পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করব। বল হাতে শুরুতে জানতাম আমাকে কী করতে হবে, তবে তা ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারছিলাম না। পরে ধীরস্থির থেকে কাজটা করার চেষ্টা করেছি।”
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রোটিয়াদের এ দিন শক্ত ভিত গড়ে দেন হেনড্রিকস। ৪০ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। করবিন বশ দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নেন ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে। মাঝের ও শেষের ওভারগুলোয় তার সামনে একদমই সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা।
তবে লিন্ডার ভূমিকাও যে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, সেটি তো বলাই যায়। তার নিজের জন্যও জরুরি ছিল এমন পারফরম্যান্স।
এমনিতে তিনি এই সংস্করণে বরাবরই বেশ কার্যকর অলরাউন্ডার। তবে দলীয় ভারসাম্যের কারণে সুযোগ সবসময় মেলে না। গত অগাস্টে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেমন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্রেফ একটি ম্যাচে তিনি একাদশে ছিলেন। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ড সফরে সুযোগই পাননি। তবে পাকিস্তানের কন্ডিশনে আবার তার কথা মনে পড়েছে দলের। তিনিও জানান দিলেন নিজের সামর্থ্য। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত-শ্রীলঙ্কায়। স্পিনিং অলরাউন্ডারদের দিকে বাড়তি নজর এখন থাকবেই। লিন্ডাও হাত উঁচিয়ে রাখছেন সেখানে।
আপনার মতামত লিখুন :