
প্রতিটি প্রবেশপথে বেশ দূর থেকেই মোটা বাঁশের শক্ত ব্যারিকেড। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ। দর্শক ব্যবস্থাপনায় এমন আরও বেশি কিছু উদ্যোগ দেখা গেল চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। প্রথম ওয়ানডেতে কিছু দর্শকের হট্টগোল ও মব তৈরি করে বিনা টিকেটে মাঠে ঢোকার চেষ্টার পর বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় বুধবারের ম্যাচে।
প্রথম ম্যাচে সোমবার গ্যালারি ছিল প্রায় পূর্ণ। দ্বিতীয় ম্যাচের অনলাইন টিকিট বিক্রি বুধবার সকালে শেষ হয় যায় বলে নিশ্চিত করেন বিসিবি পরিচালক ও বোর্ডের টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহসান ইকবাল চৌধুরী।
বিসিবি আগেই জানিয়েছিল, পুরো সিরিজের টিকিট বিক্রি হবে শুধুই অনলাইনে। তার পরও প্রথম টি-টোয়েন্টির টিকেট অনলাইনে টিকিট না পেয়ে বহু দর্শক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। স্টেডিয়ামের ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর গেটে হট্টগোল তৈরি হয়, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। মব তৈরি করে মাঠে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন অনেক দর্শক। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়।

সেই ঘটনার পর বুধবার বিকেল থেকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচে নিরাপত্তায় ছিল বাড়তি নজর। বিনা টিকিটে ঢোকার পথ রুখতে বা মব তৈরি করা এড়াতে প্রতিটি গেটে বাঁশের ব্যারিকেড বসানো হয়। প্রতিটি গেট ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়, যেখানে স্টাফ, স্বেচ্ছাসেবক, বিসিবির গেট ম্যানেজমেন্ট, রিজার্ভ পুলিশ ও স্থানীয় থানার সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন। ভেতরে ঢোকার আগে বহুবার টিকিট যাচাই, স্ক্যানিং ও সারিবদ্ধ লাইনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। দর্শকদের শৃঙ্খলা মানতে অনুরোধ করে গেটে মাইকিং চলে ক্রমাগত।
ডিয়ামের দুই নম্বর গেটের দায়িত্বে থাকা আকবরশাহী থানার এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে দর্শকের চাপ ছিল অতিরিক্ত। তখনও চেষ্টা করেছি বিনা টিকিটে ঢোকা ঠেকাতে। আজ আমাদের ফোর্স বাড়ানো হয়েছে, রিজার্ভ পুলিশও পাশে আছে। ধারণা করছি, এবার কোনো সমস্যা হবে না।’’

এক নম্বর গেটের দায়িত্বে থাকা পাহারতলি থানার পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুমন রহমান বলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকেই আজ আমরা বড় ব্যারিকেড বসিয়েছি। দর্শকের চাপ বাড়লেও প্রবেশপথে শৃঙ্খলা রাখাই অগ্রাধিকার। দর্শকও অনেকটাই বুঝছে, তাই পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’’
টিকিট ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে বিসিবি পরিচালক আহসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে মোট ৩৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে বিক্রির বড় সুবিধা বিকাল পাঁচটার মধ্যে বিক্রির অডিট রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার, তাই তার বেশি টিকিট ছাড়ার সুযোগ নেই। পাশাপাশি বিসিবির অতিথিদের জন্য সৌজন্য টিকিট বরাদ্দ রাখতে হয়।’’
আপনার মতামত লিখুন :