
ক্রিকেটে বরাবরই আলোচনায় থাকে উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবারের বাংলাদেশ সফরে সেটা আরও বেশি। বলা যায়, আগ্রহের কেন্দ্রে এখন উইকেট। বিশেষ করে মিরপুরের অভিজ্ঞতার পর। কালো মাটির উইকেটে সেখানে দাপট দেখান স্পিনাররা। কী অপেক্ষা করছে চট্টগ্রামে? কেমন হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের উইকেট?
খেলা হওয়ার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া কঠিন। বিধিনিষেধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে মুখ খুলছেন না কিউরেটর থেকে শুরু করে কেউই। তবে এটা স্পষ্ট যে, ঢাকার উইকেট মিলবে না চট্টগ্রামে।
দুই শহরের আবহাওয়া, কন্ডিশন আর মাটির ধরন সবই আলাদা। ঐতিহ্যগতভাবে চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা বলে। পরের দিকে শুকিয়ে মন্থর হয়ে যায়, তখন স্পিনাররা পান সহায়তা। তবে সেটা মিরপুরের মতো নয়।
মিরপুরের কালচে উইকেট দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন সামি বেশ অবাক হয়েছিলেন। চট্টগ্রামে এসে টি-টোয়েন্টি সিরিজের উইকেট দেখে তার মুখে হাসিই দেখা গেছে।
সেন্টার উইকেটে দুটি পিচ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পিচ দুটি সাধারণত ব্যবহৃত হয় টেস্টের জন্য। বাদামি-ধূসর মাটির উইকেটের একটিতে বেশ বড় ঘাস রাখা হয়েছে, অন্যটিতে কম। ম্যাচের দিন সকালেও ঘাস আরেক দফায় কাটা হতে পারে।
চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টির উইকেটে সাধারণত ৪ থেকে ৬ মিলিমিটার ঘাস রাখা হয়। তবে কখনও কখনও সেটি ২ মিলিমিটারেও নেমে আসে। ঘাস বড় হলে স্বাভাবিকভাবেই সুবিধা পান পেসাররা।
চট্টগ্রামে টানা দুই দিন সন্ধ্যার পর শিশির পড়েছে। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। সময় যত গড়াবে শিশিরের প্রভাব তত বাড়বে। তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে টস।
ম্যাচের আগে উইকেট নিয়ে প্রশ্নে খুব গভীরে যেতে চাইলেন না বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। তবে যে কোনো ধরনের উইকেটের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বললেন তিনি।
“মিরপুরের (উইকেটের) বিষয়টা আমি বলতে পারব না, কিন্তু চট্টগ্রামে আমরা আশা করতে পারি যে ভালো উইকেট এবারও হবে। তবে উইকেটের সার্ফেস কী আচরণ করবে, সার্ফেসের উপর তো আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ভালো উইকেটে হলে আমরা চেষ্টা করব রান করার। আর যদি উইকেট কঠিন হয়, তাহলে আমরা লড়াই করার চেষ্টা করব।”
আপনার মতামত লিখুন :