
নিউ জিল্যান্ডের জার্সিতে খেলতে এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেন উইলিয়ামস। দুই বছর পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলার ইচ্ছা আছে তার। তবে, কিউই তারকা জীবনকে এখন আর আগের মতো দেখেন না। তার অগ্রাধিকারের জায়গায় এসেছে পরিবর্তন।
গত মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ফাইনালের পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যায়নি উইলিয়ামসনকে। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর বেছে বেছে সিরিজ খেলছেন তিনি।
ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফেরার কথা ছিল নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যানের। কিন্তু কিছু ‘মেডিকেল ইস্যু’ থাকায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। অবশেষে সাত মাস পর ইংলিশদের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ফিরতে যাচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
মাউট মঙ্গানুইয়ে আগামী রোববার শুরু হবে তিন ওয়ানডের সিরিজটি। শুক্রবার নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটকে উইলিয়ামসন বলেন, আবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি।
“দলে ফিরতে পারা দারুণ ব্যাপার। শেষবার যখন স্কোয়াডে ছিলাম, তখনকার থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। নতুন কোচ ও কিছু নতুন খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে ভালো লাগছে। সিরিজটি শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছি।”
নিউ জিল্যান্ডের শীতের মৌসুমের বেশিরভাগ সময় ইংল্যান্ডে কাটিয়েছেন উইলিয়ামসন। একশ বলের টুর্নামেন্ট দা হান্ড্রেডে খেলেছেন লন্ডন স্পিরিটের হয়ে। মিডলসেক্সের সঙ্গে একাধিক সংস্করণেরও চুক্তি রয়েছে তার। যে কারণে জিম্বাবুয়ে সফরে খেলতে পারেননি। সরে দাঁড়ান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও।
এখনও বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাননি উইলিয়ামসন। তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। দেশের হয়ে বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এখনও হৃদয়ে লালন করেন তিনি। তবে এখন পরিবারকে যত বেশি সম্ভব সময় দেওয়াকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তারকা ব্যাটসম্যান।
“আপনার জীবন যেমন বদলেছে, তেমনি আমারও এবং আমি এজন্য খুবই কৃতজ্ঞ। আমার ছোট তিন সন্তান, কোথায় সময় ব্যয় করতে হবে এবং কার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, এসবের মধ্যে ভারসাম্য রাখা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে এখনও খেলতে পারা এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে পছন্দের খেলাটি খেলতে পারা দারুণ ব্যাপার, কিন্তু সবকিছুর ভারসাম্য রাখাটা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
“খেলাটা এখনও ভালোবাসি। এখনও আরও ভালো খেলোয়াড় হওয়ার, কঠোর অনুশীলন করার এবং দলের জন্য সম্ভব সবকিছু করার তীব্র ইচ্ছা আছে। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটা আমার জীবনের অনেক বড় অংশ, দল হিসেবে আমরা অনেক কিছুর এবং অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছি।”
আপনার মতামত লিখুন :