
উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপ
আগের দুই ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি পাননি। এবার আর আক্ষেপে পুড়তে হলো না স্মৃতি মান্ধানাকে। এই বছর আরেকটি সেঞ্চুরি করলেন ভারতের তারকা ওপেনার। পরে তিন অঙ্কের ঠিকানায় পা রাখলেন প্রাতিকা রাওয়ালও। দুইশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটির পথে দুজনই নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে।
উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপের খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বৃহস্পতিবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মান্ধানা। ৪ ছক্কা ও ১০ চারে খেলেন ৯৫ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
চলতি বছর এই সংস্করণে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি এটি। এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার তাজমিন ব্রিটসের পাশে বসলেন তিনি।
ব্রিটসের আগে রেকর্ডটি ছিল মান্ধানারই। ২০২৪ সালে চারটি সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এই বছর পাঁচটি সেঞ্চুরি করে তাকে ছাড়িয়ে যান ব্রিটস। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন মান্ধানা।
১১৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মান্ধানার সেঞ্চুরি হলো মোট ১৪টি। ১৫টি সেঞ্চুরি নিয়ে তার ওপরে আছেন শুধু সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মেগ ল্যানিং।

এদিন নিজের দ্বিতীয় ছক্কায় একটি নতুন রেকর্ড গড়েন মান্ধানা। এই সংস্করণে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এখন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটারের। ২০১৭ সালে ২৮ ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লি। এই বছর মান্ধানার ছক্কা এখন ৩১টি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাওয়ালের সঙ্গে ২১২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভারতকে শক্ত ভিত গড়ে দেন মান্ধানা।
উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপে যে কোনো উইকেটে ভারতের প্রথম দুইশ ছোঁয়া জুটি এটি। ২০২২ আসরে হ্যামিল্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে মান্ধানা ও হারমানপ্রিত কৌরের ১৮৪ রানের জুটি ছিল আগের সর্বোচ্চ।
এই বছরে ওয়ানডেতে মান্ধানা ও রাওয়ালের জুটিতে রান হলো মোট এক হাজার ৫৫৭। ছেলে কিংবা মেয়েদের ওয়ানডেতে এক পঞ্জিকাবর্ষে কোনো জুটিতে এর চেয়ে বেশি রানের নজির আছে কেবল একটি। ১৯৯৮ সালে সাচিন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির জুটিতে রান হয়েছিল মোট এক হাজার ৬৩৫ রান।

রাওয়াল এদিন ১২ রানে পৌঁছে ক্যারিয়ারে হাজার রান পূর্ণ করেন ২৩ ইনিংসে। উইমেন’স ওয়ানডেতে যৌথভাবে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড এটি।
৩৭ বছর পুরোনো রেকর্ড স্পর্শ করেছেন রাওয়াল। ১৯৯৮ সালে ২৩ ইনিংসে হাজার ছুঁয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার লিন্ডসে রিলার।
মান্ধানার বিদায়ের পর রাওয়াল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১২ বলে। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৩৪ বলে ১২২ রান করেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার।
২০২৫ সালে এই সংস্করণে ভারতীয় ব্যাটারদের সেঞ্চুরি হলো ১০টি, এক পঞ্জিকাবর্ষে সেঞ্চুরি সংখ্যার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি আর কোনো দল। ৮টি করে সেঞ্চুরি আছে নিউ জিল্যান্ড (২০১৮) ও দক্ষিণ আফ্রিকার (২০২৫)।
এছাড়া উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক ইনিংসে দুই ওপেনারের সেঞ্চুরির দেখা মিলল এই নিয়ে তৃতীয়বার। ১৯৭৩ আসরে ইংল্যান্ডের লিন থমাস ও এনিড বেকওয়েল এবং ১৯৮৮ আসরে অস্ট্রেলিয়ার লিন্ডসে রিলার ও রুথ বাকস্টেইন পেয়েছিলেন এই স্বাদ।
আপনার মতামত লিখুন :