অ্যাশেজ সিরিজ
অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ তিন অ্যাশেজ সিরিজেই ভরাডুবি হয়েছে ইংল্যান্ডের। তবে এবার তেমন কিছুর শঙ্কা দেখছেন না স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংলিশ পেস বোলিং গ্রেটের কাছে, এই অস্ট্রেলিয়া দলকে গত দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে মনে হচ্ছে। শক্তির দিক থেকে উত্তরসূরিদের এগিয়ে রাখছেন তিনি।
২০১০-১১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। ৩-১ ব্যবধানে জেতা স্মরণীয় সেই সিরিজে খেলেছিলেন ব্রড। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে অ্যাশেজে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন তিনি।
গত ১৫ বছরে টেস্ট খেলতে আরও তিনবার অস্ট্রেলিয়া সফর করে ইংলিশরা। সিরিজ জয় তো দূরের কথা, তাসমান সাগর পারের দেশটিতে ওই তিন সিরিজে কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি তারা।
২০১৩ সালে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৭ ও ২০২১ সালে জেতে ৪-০ ব্যবধানে। সম্প্রতি ফক্স স্পোর্টসে আলাপে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার বলেন, এবারও ৪-০তে উত্তরসূরিদের জয়ের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
বিবিসির পডকাস্টে ওয়ার্নারের ওই মন্তব্যের জবাব দেন ব্রড।
ওয়ার্নারের বিদায়ের পর ওপেনিংয়ে ভুগছে অস্ট্রেলিয়া। আসছে অ্যাশেজ থেকে তাদের নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ছিটকে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এসব দিক সামনে এনে অস্ট্রেলিয়া দলের বাস্তবতা তুলে ধরেন ব্রড।
“ইংল্যান্ড কিংবা অন্য যে কোনো দলের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় জেতা খুবই কঠিন- বিষয়টা এমনই। প্রশ্নটা আসলে ছিল, ‘কোন দল বেশি চাপে আছে?’ অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি চাপে আছে, কারণ তাদের কাছে জয়ের আশা করা হচ্ছে। ঘরের মাঠে তারা দুর্দান্ত।”
“তবে তাদের দল নিয়ে এবং অধিনায়কের (প্যাট কামিন্স) ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।”
গত ৮ বছর ধরে অ্যাশেজের ট্রফি বিখ্যাত সেই ‘ছাইদানি’ অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তবে এবার ট্রফিটির ঠিকানা বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন ব্রড। কারণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলের ‘দুর্বলতা ও নিজেদের শক্তির’ বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
“এই ভাবনাকে অদ্ভুত বলা যাবে না- এটা আসলে কোনো মতামত নয়, এটা বাস্তবতা- ২০১০ সালের পর সম্ভবত এটাই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বাজে দল, যখন ইংল্যান্ড সবশেষ (অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ) জিতেছিল। আর ২০১০ সালের পর এটা সেরা ইংলিশ দল।”
“তাই এই দিকগুলো মিলিয়ে বলা যায়, অসাধারণ একটি অ্যাশেজ সিরিজ হতে চলেছে।”
আগামী ২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ।
আপনার মতামত লিখুন :