ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর পর রং ফিকে হওয়া বা শুধু ঠোঁটের চারপাশে এক ধরনের রংয়ের দাগ আর ভেতরের অংশ ফাঁকা থাক যাওয়া- নিয়মিত যারা লিপস্টিক ব্যবহার করেন তারা স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্যায় ভোগেন।
এক্ষেত্রে বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি পারলারের রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি এমন একটি কৌশলের বিষয়ে জানিয়েছেন, যা স্থায়ী রাখবে লিপস্টিকের রং।
তিনি বলেন, “মাত্র চারটি ধাপ অনুসরণ করলেই সারাদিন লিপস্টিক উজ্জ্বল ও স্থায়ী থাকবে।”
যে কারণে লিপস্টিক স্থায়ী হয় না
শারমিন কচির মতে, “লিপস্টিক ফিকে হয়ে যাওয়ার মূল কারণ তিনটি। এর মধ্যে রয়েছে- ঠোঁটের আর্দ্রতার অভাব, স্বাভাবিক তেল বা তৈলাক্ততা এবং ঠোঁটের অমসৃণ গঠন।”
তার ভাষায়, “খাবার বা পানীয়র তেল রং ভেঙে দেয়। আর যদি ঠোঁট সঠিকভাবে প্রস্তুত না করা হয় তাহলেও এমন হয়। ঠোঁট শুষ্ক বা অমসৃণ থাকলে লিপস্টিক সহজে লেগে থাকে না এবং দ্রুত মিলিয়ে যায়।”
তাই শুধু লিপস্টিক দিয়েই সুন্দর ঠোঁটের রং পাওয়া সম্ভব নয়; বরং আগে থেকে প্রস্তুত করা জরুরি।
মাত্র চার ধাপে দীর্ঘস্থায়ী লিপস্টিক
ঠোঁট প্রস্তুত করা
যেভাবে মুখে মেইকআপের আগে প্রাইমার ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁট প্রস্তুত করতে হবে।
শারমিন কচি বলেন, “প্রথমে হালকা স্ক্রাব দিয়ে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে হবে। তারপর অল্প পরিমাণ বাম ব্যবহার জরুরি। তবে খুব বেশি বাম নয়, পাতলা স্তরই যথেষ্ট।”
এর ফলে ঠোঁট হবে মসৃণ, যা লিপস্টিককে আঁকড়ে ধরতে সাহায্য করবে।
কনসিলার ব্যবহার
এটাই হল সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনার ধাপ। ঠোঁটে হালকা কনসিলার লাগানোর অনেক ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায়।
“এমন কনসিলার বেছে নিন যেটি আর্দ্র রাখবে, কিন্তু শুকিয়ে গেলে হবে ম্যাট ফিনিশ। এতে ঠোঁটে ভারী লাগবে না, আবার লিপস্টিকের জন্য ভালো একটি বেস তৈরি হবে” বলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ।
তবে শর্ত হল পাতলা ও সমান স্তর দিতে হবে। আঙুলের অনামিকা দিয়ে সামান্য পরিমাণ কনসিলার লাগানোই সেরা পদ্ধতি।
পাউডার দিয়ে সেট করা
কনসিলার লাগানোর পর সেটি ধরে রাখতে অল্প পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
“একটু ফাইন ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার হালকাভাবে চাপ দিয়ে লাগাতে হবে। এতে কনসিলার ভালোভাবে স্থির হবে এবং মসৃণ স্তর তৈরি করবে।”
এখানেও অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। কম হলেই বেশি কার্যকর।
লিপ লাইনার ও লিপস্টিক লাগানো
সবশেষে ব্যবহার করতে হবে পছন্দের লিপ লাইনার। এরপর মিলিয়ে নিতে হবে লিপস্টিক বা লিপ গ্লস।
“ম্যাট কিংবা সাটিন দুই ধরনের লিপস্টিকই এই কৌশলের সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে। চাইলে প্রথমে লিপস্টিক লাগিয়ে পরে সামান্য গ্লস ব্যবহার করতে পারেন, উজ্জ্বল লুক পাওয়ার জন্য”- বলেন শারমিন কচি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া বেশিরভাগ সময় আর্দ্র ও গরম। এ কারণে লিপস্টিক দ্রুত ঘেমে যায় বা মিলিয়ে যায়। এছাড়া বাইরে বের হলে খাবার ও পানীয়র কারণে ঠোঁটে রং দীর্ঘ সময় টেকে না।
এক্ষেত্রে কনসিলার ও পাউডারের স্তর ঠোঁটের তৈলাক্তভাব ও ঘাম সামলে নিতে সাহায্য করে। তাই এই কৌশল এখানে ব্যবহার করলে ফলাফল আরও ভালো হবে।
আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন :